লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল মানব পাচার ও মানী লন্ডারিং অভিযোগে কুয়েত সি.আই.ডি কর্তৃক গ্রেফতারের সংবাদের পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন যে, বাংলাদেশ সরকার এ মর্মে কোন হস্তক্ষেপ করবে না। উক্ত এম.পি সরকারের পার্লামেন্টের সদস্য না হয়ে যদি বিরোধী ঘরনার কোন ব্যক্তির এ হেন পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী অনুরূপ কথা বলতেন কি না সন্দেহ রয়েছে। কারণ এ্যাটর্নী জেনারেল অফিস সহ অনেক মন্ত্রীকে এ ধরনের ঘটনায় বলতে শুনেছি যে, পাচার হওয়া অর্থ ও অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখামুখি করা হবে। সংগত কারণেই এম.পি পাপুলের ক্ষেত্রে সরকারের অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি আশা করা যায় না। কারণ একদিকে ব্যাংকলুটের কাহিনী অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে রাস্তায়ই মৃত্যুর সংবাদের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীর দিন কাটছে। ফলে এ নিয়ে আমি কথা না বাড়িয়ে অর্থ ও মানব পাচারে অভিযুক্ত পাপুলের বুদ্ধিমত্তা কে নিয়ে কথা বলতে চাই। কারণ পাপুল নিজে একজন চালাক, ধূর্ত বা বুদ্দিমান যাহাই বলি না কেন, সে বাংলাদেশের রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক নেতা, কথিত গণতন্ত্র ও কথিত নির্বাচনকে চিনতে ভুল করে নাই। কারণ সে বুঝতে পেরেছে যে, এ দেশে টাকা হলে রাজনীতি, দল, নেতা, গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে কেনা যায়। টাকা হলে এক শ্রেণীর জনগণও খুশী যারা টাউট হিসাবে পরিচিত হলেও স্থানীয় ভাবে রাজনীতিকে তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। সে সুবাধে একদিনের জন্যও রাজনীতি না করে পাপুল নিজ ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের নামে পার্লামেন্টের ২টি আসন ক্রয় করে নিয়েছে, এ ক্রয় তার ব্যয় বা খরচ বা অপচয় নয়, এটা হলো তার বিনিয়োগ। জমি কেনা, বাড়ী বানানো, মিল ফ্যাক্টরী, বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় যেমন একটি বিনিয়োগের ক্ষেত্র, বাংলাদেশে “রাজনীতিও” এখন বিনিয়োগের একটি ক্ষেত্র মাত্র, এম.পি পদটি উপরী অর্থ উপার্জনের একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। বাংলাদেশের রাজনীতি এখন টাকায় চলে বৈধ অবৈধদের ধার ধারে না। নীতিকথা যে টুকু আছে তা শুধু ষ্টেজ ফিটিং মাত্র। এ মর্মে “খুনি বিল্লাহ” সিনেমার একটি ডাইলগ খুবই প্রযোজ্য। তা হলো ভিলেন খুনি বিল্লাহ একজন প্রার্থীকে খুন করার সময় ডাইলগ দিয়ে বলে যে, “এ দেশে নির্বাচন আদর্শে চলে না, চলে টাকায়।” খুনি বিল্লাহ’র ডাইলগই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন প্রতিষ্ঠিত গুরুবাক্য বটে। ফাতেমা জিন্নাহ বনাম আইয়ুব খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিডি মেম্বারদের ভোটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একটি গরু তৎকালিন একজন বিডি মেম্বারকে গুতো দেয়ায় পত্রিকায় ফলাও হয়ে প্রচার হয়েছিল যে, “গরুটি বি.ডি মেম্বার’কে চিনিলো কি ভাবে?” সাংসদ পাপুলের মানব পাচার নিয়ে আমার কোন আলোচনা নাই, আমি জানতে চাই পাপুল বাংলাদেশের “রাজনীতি” যে ক্রয় বিক্রয়ের পন্যে পরিনত হয়েছে তা এতো সহজে সে চিনিলো কি ভাবে? তবে পাপুল রাজনীতির এ বেচা কেনার হাটে শুধু একজন ক্রেতা নয় বরং একজন সফল পাইকার। কারণ সে নিজ ও স্ত্রীর নামে দু’টি এম.পি পদ কিনতে সক্ষম হয়েছে। এ পাইকারদের পক্ষে কথা বলার জন্য এ দেশে চাটুকারের কোন অভাব নাই। বাজেট আসলেই কালো টাকা সাদা করার প্রশ্নে অনেক কথা বার্তা, বাক বিকন্ডা হয়। প্রশ্ন হলো কালো টাকা সাদা করে কাহারা? তারা কি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ বা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান? কালো টাকা সাদা হবে কি হবে না যারা সিদ্ধান্ত নেয় তারাইতো কালো টাকার মালিক। সংসদে এখন কয়জন রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যাদের সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাকগ্রাইন্ড রয়েছে? এখন রাজনীতি, নেতা, দল, নির্বাচন, গণতন্ত্র সবকিছুই প্রকেটস্থ করার একমাত্র উপাদান “টাকা”, তা বৈধ, কি অবৈধ তার খোজ এখন জনগণও আর নিতে চায় না, এটাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক অংগনের সবচেয়ে বড় ট্রেজিডি।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এ দূর্দশার কথা মানুষ জানতো না যদি না করোনার আর্ভিরবাব না হতো। রোগীরা কেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে মৃত্যুবরণ করে এ মর্মেও হাই কোর্ট মন্তব্য করেছেন। কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যায় একথা আমি নিজেও অনেকবার চিন্তা করেছি। বাংলাদেশের সরকারী ডাক্তারা সুবিধামত পোষ্টিং পাওয়ার জন্য, বিশেষ করে রাজধানীতে থাকার জন্য সকলেই দলবাজী করে, যখন যে দল ক্ষমতায় তখন তাদের পাল্লাই বেশী ভারী থাকে এবং সে কারণেই এ দেশে শুধু ভি.ভি.আই.পি’দের চিকিৎসা হয়, অন্যকারো কথা শুনার জন্য সরকারী ডাক্তারদের ফুসরত নাই। রোগীর কথা শুনার পূর্বেই প্রেসক্রিপশন লিখে ফেলে, ডাক্তারদের তাড়াহুড়া দেখলে দৌলদিয়া ফেরী ঘাটে ঝুপড়ি হোটেলে খাওয়ার অবস্থা মনে পরে যায়। উল্লেখিত ঝুপড়ি হোটেলগুলিতে সবই তাজা তাজা মাছ পাওয়া যায়, আপনি খেতে বসলে বলবে গাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে, তখন আপনি বাধ্য হয়েই আপনার নির্দিষ্ট গাড়ী ধরার জন্য বিল পরিশোধ করে দৌড় দিয়ে গাড়ী ধরবেন, কিন্তু খাওয়ার বাসনা অতৃপ্তি রয়েই গেল। বাংলাদেশে সরকারী ডাক্তারদের রোগীদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনার কোন মানসিকতা নাই, তবে ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন থাকতে পারে, তবে এ নিয়ে ভালো মন্তব্য করতে পারবে এ দেশের ভুক্তভোগী জনগণ।
করোনা ভাইরাসের প্রতিশেধক টিকা হয়তো একদিন আবিষ্কার হবে, কিন্তু রাজনৈতিক বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্য ও বর্ণ বৈষম্যের প্রতিশোধক কোন দিনই আবিষ্কার হবে না। মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য যত এনার্জি খরচ বা গলাবাজী হচ্ছে, এর চেয়ে অধিক পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে মানবতাকে ধ্বংস করার জন্য। ২৫ মে ২০২০ আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনেপলিশে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জজ ফ্লয়েভ’কে ১০ মিনিট হাটু চাপা দিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে হাজার লক্ষ জনতা প্রতিদিন কারফিউ’কে অমান্য করে বিক্ষোভ করেছে। এ বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সহ গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। উচিৎ ছিল গোটা বিশ্বে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া। নির্যাতনকারী সে শেত্বাঙ্গ ডেরেক চাত্তভিনকে বিচারের সম্মূখীন করা হয়েছে, এখন জামিনে মুক্ত আছে। অথচ আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এতো প্রকট, যে পুলিশ রাজনৈতিক নেতাদের পিটায় তারই প্রমোশন হয়, পোষ্টিং হয় লোভনীয় জায়গায়। প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আ: মতিন চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, জয়নাল আবেদীন ফারুক কেহই পুলিশী নাজেহাল থেকে বাদ যায়নি। ২৩/০৬/২০১৮ তারিখে নারায়নগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গন থেকে একটি রাজনৈতিক মামলায় আমাকে পুলিশ গ্রেফতার করলে আইনজীবি জনতা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুললে ফতুল্লা থানায় তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আমার গলায় চিপ দিলে আমার জিব্বা বের হয়ে যায়, আমি আইনজীবী জনতাকে বলি যে, মৃত্যুর চেয়ে আমার গ্রেফতার হওয়া ভালো, আমি পুলিশের গাড়ীতে উঠে যাই। এর দুদিন পরেই ওসি কামাল উদ্দিনের প্রমোশন হয়। বাংলাদেশের পুলিশ অনেক রাজনৈতিককে আমার মতই বেধম মারপিট করেছে, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেলে বেশী পিটিয়েছে, কিন্তু কোন সরকার রাজনীতিকদের উপরে পুলিশী নির্যাতনের কোন বিচার করে নাই, হায়রে স্বাধীনতা, হায়রে গণতন্ত্র, হায়রে বাংলাদেশের হতভাগ্য রাজনীতিকরা যারা রাজপথে শ্লোগানে শ্লোগানে অভ্যস্ত, রৌদ্রে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে জনগণের পাশে থাকে। অথচ অর্থের প্রভাবে ডিম পাড়ে হাসে খায় বাগদাসে। অর্থের নিকট রাজনীতি বিক্রি হওয়ার জন্য রাজপথের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা কম দায়ী নহে। কারণ তারা টাকার বানিজ্যিক ধোপে যখন টিকতে পারে না তখন প্রতিবাদে না থেকে মাথা বিক্রি করে দেয়। ফলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের একটি ঐক্যমত দরকার, সেটা যে দলেরই হউক না কেন?
জনগণের লাভের গুর এখন পিপড়ায় খায়। ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট সংসদে পেশ হলো। বিশিষ্টদের মতে এ প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন জনগণের উপর অর্পিত ট্যাক্স নির্ভর। ট্যাক্স সম্পর্কে তুলসী গ্যাবর্ড বলেছেন যে, ““Taxation is theft when the taxes are used for things that do not serve our interest”। অর্থাৎ তুলসী গ্যাবর্ডের মতে ট্যাক্স হলো এক প্রকার চুরি যদি তা জনগণের কল্যাণে ব্যয় না হয়। ইনকাম ট্যাক্স অফিসের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীই দিনে অফিসের পরে রাত্রে আলাদা চেম্বার খুলে ইনকাম ট্যাক্স প্যাকট্রিস করে। প্রকৃত ইনকাম ট্যাক্সের চেয়ে কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেশী টাকা ঘুষ দিতে হয় বলে জনগণ ট্যাক্স অফিসের ভয়ে থাকে, ভয়ে ভয়ে অতিরিক্ত ঘুষ তাদের চোরা চেম্বারে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়। অন্যদিকে সরকারী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরাই সরকারী অর্থ চুরি, অপচয় ও লোপাট করছে (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা)। করোনাকালেও হাসপাতালগুলির সরকারী ঔষধ পর্যন্ত দলীয় নেতারা চুরি করছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক সিনিয়র নার্স ও দলীয় নেতা তপন কুমার বিশ্বাস, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ফার্মাষ্টিট নির্মল সরকার ও ষ্টোর ইনচার্জ বশির আহাম্মদ সরকারী ঔষধ চুরির দায়ে গ্রেফতার হয়েছে। নেতা হলে সরকারী ভান্ডার চুরি বা আত্নসাৎ করতে অনেক সুবিধা। তাই চোর ডাকাতদের আকর্ষন সরকারী দল, অন্যদিকে চোর বাটপার যাহাই হউক না কেন সরকারের আকর্ষন জিন্দাবাদ পাওয়া, কিন্তু দম বের হয়ে যায় নিরীহ জনগণের। সরকারী হাসপাতালের ঔষধ চোরদের সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেছেন যে, “একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতা এসে তদবীর করতে থাকে” (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা তাং-১১/৬/২০২০)। চুরি বা আত্নসাৎ করতে হলে সরকারী দলের অন্তরর্ভুক্ত হওয়াটাই চোর বাটপার ও সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ। ক্ষমতা খাটিয়ে সরকারী চুরি আগেও ছিল, তবে এখন চলছে পুকুর চুরির স্থলে সাগর ও মহাসাগর চুরি। কারণ এ দেশের আইন দু’ভাগে প্রয়োগ হয়, সরকারী দলের জন্য একরকম, অন্যদের জন্য ভিন্নতর। দৃশত: মনে হয় যে, সরকারী লোকেরা ব্লু ব্লাড, বাকীরা সব “দাস” বা প্রজা। প্রস্তাবিত বাজেটে তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার কোটি টাকা কর আদায় হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বিগত বৎসরের কর আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা ধার্য হয়েছে ৯.৮১% বেশী। জনগণ কর দিবে অথচ হাসপাতালে ভর্তির অভাবে গাড়ীতেই মানুষ মারা যাবে, সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকেরা যেখানে যা পাবে তা খেয়ে ফেলার কারণেই জনগণ রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত। করের (ট্যাক্স) বিপরীতে মানুষকে সেবা দেয়া হউক, ক্ষুদার্থ সরকারী পিপড়াদের (চোর) পেট ও জিব্বা সেলাই করে দেয়া হউক, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের ফুটানীর খাতে অপচয় বন্ধ করা হউক, অহেতুক প্রশিক্ষণের নামে বিদেশী সফর বাতিল করা হউক, অন্যদিকে ইনকাম ট্যাক্স অফিসে দূর্র্নীতি মুক্ত বা ইনকাম ট্যাক্স কর্মচারীদের অফিস বর্হিরভুত চোরা চেম্বার বন্ধ করা যাবে না, তবে ট্যাক্স দেয়ার পদ্ধতিকে সহজ করে দিলে জনগণ ইনকাম ট্যাক্স দিতে উৎসাহ বোধ করবে। ইনকাম ট্যাক্স অফিসের কর্মচারী, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব নেয়া হউক। অন্য সরকারী অফিসের কর্মচারী/কর্মকর্তারা ঘুষ নেয়, আর ইনকাম ট্যাক্স অফিসে ঘুষ স্বেচ্ছায় দিয়ে আসতে হয় এবং ট্যাক্স অফিসের জন্মলগ্ন থেকেই এটাই রেওয়াজ। দেশের ৯১% সম্পদ একটি শ্রেণীর হাতে বন্ধী হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, জনগণকে কর প্রদানে উৎসাহিত করতে হলে কর প্রদান প্রদ্ধতিতে সহজ করে দিলে এবং ইনকাম ট্যাক্স অফিসের অহেতুক হয়রানী বন্ধ করতে পারলে জনগণ উৎসাহ বোধ করবে। ফলে জনগণের উপরে করের বোঝা না চাপিয়ে জনগণ যাহাতে কর (ট্যাক্স) প্রদানে উৎসাহিত হয় এবং ট্যাক্স বিপরীতে জনগণ যাহাতে কাংখিত সেবা পায় সে ধরনের পদক্ষেপ সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।
লেখক:
রাজনীতিক, কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)